বর্তমান সময়ে প্রায় সকলের হাতেই স্মার্ট ফোন। সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত। হোয়াটস অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটারে ব্যস্ত থাকেন। তবে এবার চুটিয়ে চ্যাটিং করার দিন শেষ। বিশেষ করে কারণ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে হলে আপনাকে পকেটের টাকা খরচ করতে হবে। জানা গেছে, মেটা ভেরিফায়েড সেবা নিতে হলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আলাদাভাবে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। একসময় ফেসবুকের জনক মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছিলেন, আজীবন ফ্রি থাকবে ফেসবুক। মানে ফেসবুক ব্যবহার করলে আলাদা ভাবে কাউকে টাকা টাকা দিতে হবে না। এবার সেই কথা থেকেই সরে এলেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের পেইড সাবস্ক্রিপশন সার্ভিসের মতো বড় ঘোষণা করলেন তিনি।
জাকারবার্গ জানিয়েছেন, এই পরিষেবার কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি। এটি করার পিছনে রয়েছে অনেক কারণ। মেটাভেরিফিকেশনের সুবিধা নেওয়া ব্যবহারকারীরা আরও সুযোগ পাবেন। তাছাড়া এই অ্যাকাউন্টগুলি আরও সুরক্ষিত হবে। জাল প্রোফাইল থেকে মিলবে সুরক্ষা। যারা এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হবেন তারা এই সংস্থার কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এর আগে জানা গিয়েছিল, ফেসবুকে ও ইনস্টাগ্রামে ভেরিফায়েড চিহ্নের জন্য ওয়েব ব্যবহারকারীদের দিতে হবে ১১.৯৯ ডলার (এক হাজার ২৫৭ টাকা) এবং আইফোন ব্যবহারকারীদের দিতে হবে ১৪.৯৯ ডলার। তবে এখন জানা যাচ্ছে, এই খরচে দুটি প্ল্যাটফরম ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ এতে অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মাসিক খরচ হবে ২৩.৯৯ ডলার আর আইওএস ব্যবহারকারীদের খরচ হবে ২৯.৯৯ ডলার।
নিজেদের সাপোর্ট পেজে এই তথ্য দিয়েছে মেটা। গত বৃহস্পতিবার তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ওয়েটলিস্ট পেজ চালু করে। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীরা এতে সাইন আপ করে রাখলে পেইড সেবাটি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নোটিফিকেশন পাবে। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে মেটা ভেরিফায়েড সেবা চালু হয়েছে। তবে দেশ দুটির সব ব্যবহারকারীর কাছে পেইড সেবাটি পৌঁছাতে আরো সময় লাগবে। আপাতত শুধু ফেসবুকের ওয়েব প্ল্যান কেনা যাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।